আদা Ginger
মসলা হিসেবে আদা জনপ্রিয়।
এটি ভেষজ ঔষধ।
মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোদে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়।অধিকন্তু সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়।
আদা একটি উদ্ভিদ মূল যা মানুষের মসলা এবং ভেজষ ঔষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।মশলা জাতীয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়।আদা সেই প্রথম মশালাগুলির মধ্যে একটি যা এশিয়া থেকে ইউরোপে রফতানি করা হয়েছিল, যা মূলত মশালার বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌঁছেছিল এবং প্রাচীন গ্রীস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত।
আদা (Zingiber officinale)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাসঃ---
জগৎ: Plantae
(শ্রেণীবিহীন): Angiosperms
(শ্রেণীবিহীন): Monocots
(শ্রেণীবিহীন): Commelinids
বর্গ: Zingiberales
পরিবার: Zingiberaceae
গণ: Zingiber
প্রজাতি: Z. officinale
দ্বিপদী নাম Zingiber officinale
★★★জাত পরিচিতিঃ-----
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে উদ্ভাবিত উন্নত জাত বারি আদা-১।
বারি আদা-১: প্রতিটি গোছায় রাইজোমের ওজন ৪০০-৪৫০ গ্রাম।
প্রচলিত জাতগুলোর তুলনায় এর ফলন বেশি।
স্থানীয় হাতের মতো বারি আদা-১ সহজে সংরক্ষণ করা যায়।
পুষ্টিমূল্যঃ-----
আদায় ক্যালসিয়াম ও প্রচুর ক্যারোটিন থাকে।
ভেষজ গুণঃ পেট ফাঁপা ও ফোলা এবং সর্দি-কাশিতে আদা ব্যবহৃত হয়।
বিস্তৃতি
আদা অর্থকরী ফসলের চেয়ে আদা চাষ করা লাভজনক।শেফ জাহেদ এর মতে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও পার্বত্য জেলাগুলোতে ব্যাপকভাবে আদা চাষ হয়ে থাকে।
পুষ্টি গুণ
- আমিষ ২·৩%,
- শ্বেতসার ১২·৩%
- আঁশ ২·৪% ,
- খনিজ পদার্থ,
- ১·২% পানি
- ৮০·৮% ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান।
গুনাগুণ
১. হজমের সমস্যা রোধে
আদার মধ্যে ডাইজেসটিভ ট্রাক্টের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি পাচক রস নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। এতে খাবার ও পানি খুব সহজে পেটে নড়াচড়া করতে পারে।
২. বমি রোধে
গর্ভাবস্থায় বমি কমাতে আদা খুব উপকারী। এ ছাড়া মর্নিং সিকনেস প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।
৩. ব্যথা কমাতে
পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর। আদা ২৫ ভাগ পেশির ব্যথা কমাতে কাজ করে।
৪. প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে
২৪৭ জনের একদল লোকের ওপর একটি গবেষণা করে দেখা গেছে, আদা খুব দ্রুত গাঁটের ব্যথা কমায় এবং গাঁটের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
৫. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে
৮৫ জনের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিন গ্রাম আদার গুঁড়ো খেলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৬. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।
৭. আদা ক্যানসাররোধী
আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
৮. মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করে
আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান মস্তিষ্কের অকালবার্ধক্য কমায়। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।