নিকোটিন মুক্ত করার খাবার


আমাদের মধ্যে অনেকেই সিগারেট বা ধুমপান করেন বেশি ধুমপান করার কারনে দেহে অনেক নিকটিন জমা হয়। এটা সবাই জানি যে শরীরের জন্য নিকটিন কত খারাপ বা ক্ষতি কর। তাই আজ আমরা জানবো শরীরকে নিকোটিন মুক্ত করার উপায়।  

সিগারেটের মূল উপাদান নিকোটিন। নিকোটিন একটি আসক্তিকর রাসায়নিক। তাই ধূমপান ত্যাগ করা খুব কঠিন। নিকোটিন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে যা নার্ভ ও পেশিকোষ ব্লক করে দেয়৷ ফলে এরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। নিকোটিন হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান নিষিদ্ধ করা, স্বাস্থ্য সতর্কতা এবং বৈজ্ঞানিকভাবে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো প্রমাণ হওয়ার পরও মানুষ বিশেষ করে পুরুষরা ধূমপান পছন্দ করে। যারা ধূমপান করেন তাদের জন্য এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে শরীর থেকে নিকোটিন বের হয়ে যায়। জেনে নিতে পারেন সেই খাবার সম্পর্কে।

শরীরকে নিকোটিন মুক্ত করে যে খাবারঃ

১। পানি  পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড পানীয় হচ্ছে জল। নিকোটিনের দ্বারা শরীরের অভ্যন্তরের যে ক্ষতি হয় তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জল। জেনে আশ্চর্য হতে হয় যে, নিকোটিন শরীরকে জলশূন্য করে! প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস জল পান করলে শরীর রিহাইড্রেট হয় এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য বের হয়ে যায়। এছাড়াও আদা, লেবু, ডালিম, কিউই খেলে নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়।

২। সাইট্রাস কমলা বলশালী সাইট্রাস ফল, নিকোটিন ভিটামিন সি হ্রাস করে এবং চাপ বৃদ্ধি করে। কমলা খেলে ভিটামিন সি-এর স্তর পরিপূর্ণ হয় এবং স্ট্রেস ও উদ্বিগ্নতা কমে।

৩। পালংশাক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ধূমপায়ীদের ফলিক অ্যাসিডের সরবরাহ কম থাকে। এই অ্যাসিড মাংসপেশি, স্নায়ু এবং ব্রেইন হেলথ ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন। সৌভাগ্যক্রমে পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে। পালংশাক ভিটামিনে ভরপুর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে৷ যা সার্বিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্য রক্ষা করে। অনেকেই হয়তো জানে না যে, পালং শাক খেলে স্মোকিংয়ের স্বাদ নষ্ট হয়! যদি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে, পালং শাক খেতে হবে৷

৪। গাজর ধূমপান ছাড়ার জন্য গাজর অনেক উপকারি। গাজরের জুস খেলে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় বেশি। প্রতি দিন এক কাপ গাজরের জুস পান করলে শরীর ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে দিয়ে পরিপূর্ণ হবে। যা শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দিতে সাহায্য করে।

৫। ব্রোকলি ব্রোকলিতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন বি-৫ ও ভিটামিন সি থাকে। বি ভিটামিন শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রোকলি খেলে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুসকে টক্সিন থেকে রক্ষা করে। ব্রোকলিতে NRF2 জিন থাকে৷ যা ফুসফুসের কোষকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

মনে রাখা দরকার, নিকোটিন ত্বকের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা খুব সহজ নয়। মারাত্মক কোন স্বাস্থ্য সমস্যা না হলে, এটা ছাড়ার কথা চিন্তা করে না অনেকেই। খাদ্যাভ্যাসের সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এই বদ অভ্যাসটি ত্যাগ করা যেতে পারে৷ কার জন্য কোনটি কার্যকর তা খুঁজে বের করে ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা শুরু করা যেতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

dnt share any link

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম