ড্রাগন ফল | Dragon Fruit

ড্রাগন ফল


এটি কাঁচা অবস্থাতেই খাওয়া হয়  প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের সাদা বা লাল অংশে ২১ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা দৈনিক ভিটামিন সি’র চাহিদার ৩৪ শতাংশ পূরণ করতে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ৩ গ্রাম আঁশ থাকে যা দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ। ড্রাগন ফলের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। এই ফলের কালো বীজে থাকে ল্যাক্সেটিভ ও পলিআনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা হজমে সাহায্য করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের সহায়ক। 

ড্রাগন ফলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখে এবং তারুণ্য বজায় রাখে। খাওয়ার পাশাপাশি ড্রাগন ফলের পেস্ট বানিয়ে মধু মিশিয়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টি এইজিং ফেসমাস্ক তৈরি করতে পারেন।

ড্রাগন বিদেশি ফল হলেও ড্রাগন ফলের সতেজ করা স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বাংলাদেশেও এখন এই ফল চাষ হচ্ছে। বিদেশি এই ফল দামে বেশি হলেও পুষ্টিগুণে সেরা।

 ত্বককে দৃঢ় রাখতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দরকার হয় শরীরের। এগুলো ক্যান্সারের সঙ্গেও লড়াই করে। ভিটামিন-সি এর উপস্থিতির কারণে ড্রাগন ফলকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস মনে করা হয়।খাদ্যে আঁশের পরিমাণ বেশি থাকলে পরিপাক প্রক্রিয়া ঠিক ভাবে কাজ করে। উচ্চ আঁশের ড্রাগন ফল তাই কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম প্রতিরোধেও কার্যকর।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা

 ত্বকের জন্য ড্রাগন ফল

পানিতে সমৃদ্ধ এই ফলটি শরীরের তরল উপাদান বাড়ায় এবং ত্বককে আরও আর্দ্র করে তোলে।

ড্রাগন ফল ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করে

এর সমৃদ্ধ ফাইবার সামগ্রীর জন্য ধন্যবাদ, ড্রাগন ফল রক্তে শর্করাকে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং রক্তে চিনির আকস্মিক ওঠানামাও রোধ করে। আমরা বলতে পারি যে টাটকা, খুব চিনিযুক্ত স্বাদ একটি প্রভাব আছে। একই সাথে, এর পটাসিয়াম সামগ্রীর জন্য ধন্যবাদ, এটি ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি এবং হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।বেশি পরিমাণে আঁশ থাকায় ড্রাগন খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল থাকে। শরীরে শর্করা বাড়লে কমাতেও পারে ড্রাগন। গবেষকরা বলছেন, খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ড্রাগন থাকলে ডায়াবেটিস সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার থেকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী এই ফল। গর্ভবতী মায়েরাও খেতে পারেন সুস্বাদু এই ড্রাগন ফল।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে  ড্রাগন ফল

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বস্তিকর সমস্যা যা ফাইবারলেক্সিটিতে দেখা যায়। ড্রাগন ফল উচ্চ ফাইবার সামগ্রী সহ কোষ্ঠকাঠিন্য সমাধান করে।

ড্রাগন ফল ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে

ড্রাগন ফলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হ'ল এটি উচ্চ হারে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। একটি ড্রাগন ফল দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সামগ্রীর 70 শতাংশ পূরণ করে।

ড্রাগন ফলকোলস্টেরল কমায় 

এ ফল কোলস্টেরল কমিয়ে হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য এটি ভালো উপায়। এর বীজে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা সুস্থ থাকতে কাজে লাগে। ফলের খোসা খুব পাতলা। ফলে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, খনিজ লবণ ও আঁশ থাকে। বহুমূত্র, রক্তচাপ ও শরীরের স্থূলতা কমায়। লাল রঙের ফল থেকে চমৎকার প্রাকৃতিক রং পাওয়া যায়। এই রং শরবত তৈরিতেও ব্যবহার্য। শুকনো ফলও ভক্ষ্য এবং তা কাঁচা ফলের মতোই উপকারী।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ড্রাগন ফল
ড্রাগন ফল ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে। এই ফলে ক্যারোটিন নামক উপাদান রয়েছে, যা শরীরে থাকা টিউমারকে ধ্বংস করে।২০১১ সালে এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্যান্সার প্রিভেনশনে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘লাইকোপেনে’ নামক পুষ্টি উপাদান গ্রহণ না করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে উপাদানটির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই ড্রাগনের রং লাল হয়। এছাড়াও ড্রাগনে রয়েছে ক্যারোটিন। যা শরীরে থাকা টিউমার ধ্বংস করতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সব উপাদানই রয়েছে ড্রাগনে। বিশেষত এর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি কার্যকর রাখে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে। এছাড়া এ ফলে মিনারেলস, পাইটোঅ্যালবুমিনও রয়েছে উচ্চ পরিমাণে। রূপকথার ড্রাগনের পিঠের মতো এই ফলের বাইরের খোসা দেখতে। এই রূপকথার ড্রাগনের মতো কিছুটা মিল থাকার জন্য একে ড্রাগন ফল বলে। ড্রাগন গাছ দেখতে একদম ক্যাকটাসের মতো। গাছ দেখে অনেকেই একে চির সবুজ ক্যাকটাস বলেই মনে করেন।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় 
অন্যতম ভরসা হয়ে উঠছে ড্রাগন ফল। বাজারের সব জায়গায় বিক্রি হচ্ছে এই ‘ট্রপিক্যাল সুপারফুড’। চিকিৎসকরাও ঢালাও সার্টিফিকেট দিচ্ছেন।বলছেন, ডায়াবেটিস ও প্রস্টেট ক্যানসারের মোকাবিলায়ও এই ফল বেশ কার্যকর। ড্রাগন ফলের আদি বাড়ি মেক্সিকো, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায়। কিন্তু পরবর্তীকালে কম্বোডিয়া, থাইল্যাল্ড, ফিলিপিন্সেও চাষ শুরু হয় এই ফলের। এখন বাংলাদেশের নাটোর, পাবনা, বগুড়া, চট্টগ্রামেও প্রচুর ফলন হচ্ছে।
এই ফলে থাকা ক্যারোটিন, লাইকোপেন প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
শ্বাস প্রশ্বাসের রোগ নিরাময়  ড্রাগন ফল
রোগ প্রতিরোধের সমস্ত ক্ষমতাই রয়েছে এই ড্রাগন ফলে। বিশেষত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এই ড্রাগন ফলে। এই ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে। নিয়মিত এই ফলটি খেলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে ড্রাগন ফল ভিটামিন সি দ্বারা সমৃদ্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে কিন্তু শরীরে ভিটামিন সি এর দাপট খাকা প্রয়োজন। এই ফলটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে পারে। রোগজীবাণুকে ধ্বং’স করতে সহায়তা করবে। আপনার দেহে শ্বেত র’ক্ত কোণিকার সংখ্যা বাড়াবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

dnt share any link

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম